ইহুদি জাতির মাঝে জাদুর প্রচলন ছিল। জাদু বিদ্যা অর্জন করার কারণে তারা কারামত-মুজিযা ও যাদুর মধ্যে পার্থক্য না করে সব কিছুকেই জাদু বলে দাবি করতো। তখন আল্লাহ দু’জন ফিরিশতাকে দায়িত্ব প্রদান করেন যাদুর প্রকৃতি এবং জাদু ও মুজিযার মধ্যে পার্থক্য শিক্ষা দানের জন্য। তারা মানুষদেরকে এ পার্থক্য শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, তোমরা এই জ্ঞানকে যাদুর জন্য ব্যবহার করে কুফুরী করবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই যাদু ব্যবহারের কুফুরীতে নিমগ্ন হতো।
হারুত ও মারুত সম্পর্কে কোরআনে আর কোনো কিছুই বলা হয়নি। সহিহ হাদিসেও এ বিষয়ে কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু এ বিষয়ক অনেক গল্প-কাহিনী হাদিস নামে বা তাফসীর নামে তাফসীরের গ্রন্থগুলোতে বা সমাজে প্রচলিত। কাহিনীটির সার-সংক্ষেপ হলো—
মানব জাতির পাপের কারণে ফিরিশতাগণ আল্লাহকে বলেন, মানুষের এত অপরাধ আপনি ক্ষমা করেন কেন বা শাস্তি প্রদান করেন না কেন? আল্লাহ তাদেরকে বলেন, তোমরাও মানুষের মতো প্রকৃতি পেলে এমন পাপ করতে। তারা বলেন, কখনো না। তখন তারা পরীক্ষার জন্য হারুত ও মারুত নামক দু’জন ফিরিশতাকে নির্বাচন করেন। তাদেরকে মানবীয় প্রকৃতি প্রদান করে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়।
পৃথিবীতে এসে তারা জোহরা নামক এক পরমা সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়ে মদপান, ব্যভিচার ও নরহত্যার পাপে জড়িত হন। পক্ষান্তরে জোহরা তাদের কাছ থেকে মন্ত্র শিখে আকাশে উড়ে যায়। তখন তাকে একটি তারকায় রূপান্তরিত করা হয়।
এ গল্পগুলো মূলত ইহুদিদের মধ্যে প্রচলিত কাহিনী। তবে কোনো কোনো তাফসীর গ্রন্থে এগুলি হাদিস হিসাবেও বর্ণিত হয়েছে। এ বিষয়ক সব হাদিসই অত্যন্ত দুর্বল বা জাল সনদে বর্ণিত হয়েছে। কোনো কোনো মুহাদ্দিস বিভিন্ন সনদের কারণে কয়েকটি বর্ণনাকে গ্রহণযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন। অনেক মুহাদ্দিস সবগুলোই জাল বলে মত প্রকাশ করেছেন।
পবিত্র কোরআনে এই ফেরেশতাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে—
وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلا تَكْفُرْ
এবং সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানগণ যা আবৃত্তি করত তারা (ইহুদিরা) তা অনুসরণ করত। সুলামইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত। এবং যা বাবিলে হারুত ও মারুত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা কাউকে শিক্ষা দিত না, এ কথা না বলা পর্যন্ত যে, ‘আমরা পরীক্ষা স্বরূপ, সুতরাং তোমরা কুফুরী করিও না। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০২)
হারুত ও মারুত সম্পর্কে কোরআনে আর কোনো কিছুই বলা হয়নি। সহিহ হাদিসেও এ বিষয়ে কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু এ বিষয়ক অনেক গল্প-কাহিনী হাদিস নামে বা তাফসীর নামে তাফসীরের গ্রন্থগুলোতে বা সমাজে প্রচলিত। কাহিনীটির সার-সংক্ষেপ হলো—
মানব জাতির পাপের কারণে ফিরিশতাগণ আল্লাহকে বলেন, মানুষের এত অপরাধ আপনি ক্ষমা করেন কেন বা শাস্তি প্রদান করেন না কেন? আল্লাহ তাদেরকে বলেন, তোমরাও মানুষের মতো প্রকৃতি পেলে এমন পাপ করতে। তারা বলেন, কখনো না। তখন তারা পরীক্ষার জন্য হারুত ও মারুত নামক দু’জন ফিরিশতাকে নির্বাচন করেন। তাদেরকে মানবীয় প্রকৃতি প্রদান করে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়।
পৃথিবীতে এসে তারা জোহরা নামক এক পরমা সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়ে মদপান, ব্যভিচার ও নরহত্যার পাপে জড়িত হন। পক্ষান্তরে জোহরা তাদের কাছ থেকে মন্ত্র শিখে আকাশে উড়ে যায়। তখন তাকে একটি তারকায় রূপান্তরিত করা হয়।
এ গল্পগুলো মূলত ইহুদিদের মধ্যে প্রচলিত কাহিনী। তবে কোনো কোনো তাফসীর গ্রন্থে এগুলি হাদিস হিসাবেও বর্ণিত হয়েছে। এ বিষয়ক সব হাদিসই অত্যন্ত দুর্বল বা জাল সনদে বর্ণিত হয়েছে। কোনো কোনো মুহাদ্দিস বিভিন্ন সনদের কারণে কয়েকটি বর্ণনাকে গ্রহণযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন। অনেক মুহাদ্দিস সবগুলোই জাল বলে মত প্রকাশ করেছেন।
পবিত্র কোরআনে এই ফেরেশতাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে—
وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلا تَكْفُرْ
এবং সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানগণ যা আবৃত্তি করত তারা (ইহুদিরা) তা অনুসরণ করত। সুলামইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত। এবং যা বাবিলে হারুত ও মারুত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা কাউকে শিক্ষা দিত না, এ কথা না বলা পর্যন্ত যে, ‘আমরা পরীক্ষা স্বরূপ, সুতরাং তোমরা কুফুরী করিও না। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০২)